অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ ৫টি উপায় :
বর্তমানে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে জিবিকা নির্বাহ করছে।মানুষ খুব সহজেই ভালো একটা পরিমান অর্থ অনলাইন থেকে উপার্জন করছে।দেশের অনেক মানুষ এখন এই অনলাইন ইনকাম IT Earning এর ওপর নির্ভরশীল।আপনি চাইলেয় খুব সহজে ইনটারনেট এর মাধ্যমে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন।আপনি কি সেটি চান ? তাইলে এই IT Earning & আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। ইন্টারনেট থেকে অনলাইন টাকা ইনকাম করার জন্য অনেক উপায় বা মাধ্যম রয়েছে ।
নিচে আমি এমন, ৫টি উপায় বলব যেগুলির মাধ্যমে আজ বিভিন্ন দেশের লোকেরা ঘরে বসে অনলাইন কাজ করে ,ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করেছেন।
১।ফ্রিলান্সিং(Freelancing)করে
অনলাইনে যে পদ্ধতিতে সব থেকে বেসি মানুষ রোজগার করে সেটি হলো ফ্রিলান্সিং । ফ্রিলান্সিং ঘরে বসেই অনলাইনে টাকা ইনকাম টাকা ইনকাম করার সব থেকে জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায়।
অনেক দেশের মানুষ জান্তয় না যে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ বলে কোন দেশ আছে। সে সব মানুষের কাছে বাংলাদেশকে পরিচিত করছে আমাদের দেশের ফ্রিলান্সিংগ্ন।সাথে সাথে প্রতি মাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স তারা এনে দিচ্ছে বাংলাদেশে।তাই এই ফ্রিলান্সিং এ যোগদান করে আপনিও টাকা আয় করার পাশাপাশি এই গৌরবের অংশীদার হতে পারবেন।
আপনার এখানে কাজ করার জন্য ,আপনার যে ইমপ্লয়ার তার নির্দিষ্ট কোন জায়গা নাই । আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার কাজ সম্পাদন করতে পারবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট হবে বিভিন্ন দেশের ।
ফ্রিলেন্সিং এর কাজের ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য Company, Person বা Clients দের জন্যই চুক্তি হিসাবে কাজ করবেন। এবং কাজ পাওয়ার জন্য আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ বিষয়ে skills,knowledge বা experience থাকাটা অবশ্যই জরুরি itearning এ এই বিষয় এ ভিডিও আছে ।ফ্রিলেন্সিং কাজটি একবার শিখতে পারলেই ,শুধু কাজ আর কাজ।এই ফ্রিলেন্সিং কাজ করে অনেক মানুষ এখন লক্ষ লক্ষ টাকা প্রত্যেক মাসে ইনকাম করছে।ফ্রেলেন্সিং হিসেবে কাজ খোঁজার জন্য আপনি বিভিন্ন online freelancing marketplace গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
যেমনঃfreelancer.com,fiverr.com,upwork.com,Guru.com ইত্যাদি।
2| Online Survey করে আয়ঃ এই বিষয় এ IT Earning চ্যানেল এ অনেক ভিডিও পাবেন ।
অনলাইন সার্ভে হলো একটি প্রক্রিয়া যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এটি সাধারণত এক ধরনের প্রশ্নমালা আকারে হয়, যা উত্তরদাতারা পূরণ করে। অনলাইন সার্ভে নানা কারণে ব্যবহার করা হতে পারে, যেমন:
বাজার গবেষণা: পণ্য বা পরিষেবার উপর গ্রাহকদের মতামত সংগ্রহ করতে।
গ্রাহক সন্তুষ্টি মূল্যায়ন: পরিষেবা বা পণ্যের মান উন্নত করার জন্য।
প্রতিষ্ঠানিক জরিপ: কর্মীদের সন্তুষ্টি, কাজের পরিবেশ ইত্যাদি মূল্যায়নের জন্য।
একাডেমিক গবেষণা: গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে।
অনলাইন সার্ভে প্ল্যাটফর্মগুলোর উদাহরণ হিসেবে SurveyMonkey, Google Forms, এবং Typeform উল্লেখযোগ্য। এগুলো সহজেই ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে অনেক অনলাইন সার্ভে প্রোগ্রাম এবং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ করে ইনকাম করতে পারবেন ।
নোটঃ IT Earning এর টিম এর সাথে কাজ করতে পারবেন । নতুনদের জন্য রয়েছে কাজ শেখা ফ্রি ।
৩।Affiliate marketing করে আয় : এই বিষয় এ ভিডিও রয়েছে itearning channel এ ।
অ্যাফিলয়েট মার্কেটিং অনেক সহজ একটি মাধ্যম।কিন্তু সাধারন মানুষের অনেকেই এ বিষয়ে ধারনা না থাকার কারনে এই কাজে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করছে না।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate marketing)সারা পৃথিবীতে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটি অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।(Affiliate marketing) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং,আজ এমন এক মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে আপনারা যেকোনো অন্য কম্পানি পণ্য , প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের অনলাইন প্রমোশন (Promotion) বা প্রচার করিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। পৃথিবীজুড়ে হাজার হাজার (E-Commerce) সাইট রয়েছে ।এইসব (E-Commerce) সাইটে প্রত্যেকটাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং( Affiliate maketing) নামে একটি সেকশন রয়েছে।সেখানে Account খুলে খুব সহজেই তাদের মেম্বার হয়ে যেতে পারেন।
এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার কমিশনের জন্য পণ্যটির দাম বাড়বে না।পণ্যটির আসল যে দাম সেটি দিয়ে মানুষ কিনতে পারবে আপনার পাঠানো লিংক থেকে ।তবে এক্ষেত্রে আপনাকে Affiliate marketing এর পাশে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কেও কিছু ধারনা থাকতে হবে।এখানে আপনি যদি ভালো কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন তাহলে টাকা আয় করা সম্ভব।তাছাড়া আপনি যদি চান তাইলে E-Commerce এর মাধ্যমেও ইনকাম করতে পারেন।আপনি যদি হাজার খানের একটিভ ইমেইল ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন ,তাহলে খুব সহজে এখান থাকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অ্যামাজন এফিলিয়েশন প্রোগ্রাম (Amazon affiliation Program) ।
৪।Blogging করে আয়:
ব্লগিন অনেক কার্যকর একটা পদ্ধতি ।এই পদ্ধতিতে প্রতি মাসে বেশ ভালো ইনকাম করা সম্ভব ।আপনি চাইলে , অনেক সহজেই আক্তি ব্লগ তৈরি করে নিজের ব্লগে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বিভিন্ন দেশের লোকেরা আজ , ব্লগিন তাদের ক্যারিয়ার হিসাবে নিয়েছেন ।এবং ,একটি part- time বা full- time ব্যবসা হিসাবে ব্লগিন করছেন ।আপনি যদি , প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা ব্লগ নিয়ে কাজ করেন তাইলে প্রতি মাসে ১০-২০ হাজার এর মতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
আপনি হইতো এখন ভাবছেন ব্লগিন কি ?
এটি মুলত একটি ডিজিটাল নিউজ পেপার এর মতো ।আপনি আপনার মন মতো একটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবেন ।যার এই বিষয় সম্পর্কে জানার ইচ্ছা আছে সে এসে পড়ে যাবে।এখন আপনি যে লেখাটি পরছেন আটাও একটি ব্লগ।
আপনার যদি লেখালেখি বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে খুব সহজেই ব্লগে কাজ করে খুব ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারেন।
আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান,অভিজ্ঞতা বা আগ্রহী বেশি সে বিষয়ে ব্লগ করলে খুব ভালো কাজে দেয়।
এখন মূল কথা হলো আপনি কথায় লেখাটা শুরু করবেন। এক্ষেত্রে সব থেকে ভালো হয় আপনি নিজে একটি ব্লগ সাইট বানাতে পারেন । খরচ ছাড়ায় অনেক সহজে ব্লগ সাইট বানানো যায়।কিন্তু মানুষ একটু কম বিশ্বাস করে ফ্রি সাইট গুলকে ।এজন্য আমাদের পরামর্শ থাকবে প্রথমে কিছু টাকা খরচ করে ডোমেন কিনে হোস্টিং ঠিক করে আকর্ষণীয় একটি সাইট তৈরি করুন।তারপর ওখানে লেখালেখি শুরু করুন।দেখবেন অনেক ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।
ফ্রি সাইটের তুলনায় এভাবে খরচ করলে ব্লগিং করলে আপনার ব্রান্ডিং টা ভালো হবে ইনকাম এর পরিমান ও অনেক ভালো হবে।
আপনি মোবাইল বা কম্পিউটারে ব্লগিং করে কাজ করতে পারেন video পাবেন IT Earning YouTube channel এ ।
তবে এতো কিছুর পাশাপাশি আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে কিছুটা ধারনা থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খিব সহজেই আপ্ন্র সেই ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক বা ভিজিটর আনতে পারবেন।খুব সহজেই যার মাধ্যমে আপনি কিন্তু আপনার ইনকাম এর পরিমান বহুগুনে বারিয়ে ফেলতে পারবেন ।
৫।YouTube করে আয়
অনলাইনে ইনকাম করার আরেকটি উপায় হল ইউটিউবিং। যেমনঃ itearning
বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার আছে।এদের মধ্য কারো কারো মাসে ইনকাম ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা।চাইলেও,আপনিও কিন্তু ইউটিউবয়ে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন ।
আপনারা যেকোনো ধরনের ভিডিও বানিয়ে আপনর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিতে পারেন ।
যেমনঃeducational videos,informational,story,টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং লোকেরা যেসব ভিডিও দেখে ভালো লাগতে পারে ,সেসব ভিডিও বানিয়ে আপনারা আপনাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিতে পারেন ।
আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো থাকে,প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে যদি ভিডিও বানাতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই আপনার ভিউয়ার পেয়ে যাবেন ।
তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিওর অডিও এবং এডিটিং খুবই ভালো হতে হবে।
তাহলে যতো তাড়াতাড়ি পারেন ,একটি ভালো চ্যানেল আইডিয়া নিয়ে, ইউটিউব চ্যানেল খুলে, ভিডিও বানিয়ে আপলোড করুন।
এতে আপনার চ্যানেলের subscriber এবং views এর সংখ্যা বাড়বে আর তারপর আপনি ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন ।